thaba.in

বৈশাখী নার্গিসের কবিতা

শেয়ার করুন

মিথ্যে চিতার আলো

এই তো কিছুটা দূরে বসে আছি
আলোক কণা হয়ে
বাতাসের শিরশিরে অভিমানে ঠোঁট ডুবিয়ে
একটা কালো রাত কেমন গম্ভীর
তারাগুলোও আবেগে ভেসে যেতে চায়

আমাদের ভেতর একটা নদী বয়ে চলে
যে নদীর নাম ইছামতী
আমি সাঁতার জানি না
তাই আঁকড়ে ধরি তোমায়
ছায়া হয়ে থাকি দুপুরের রোদে

গুটিকয়েক জোনাক জ্বলে ওঠে
কানে কানে ফিসফিস করে ঝিঁঝিঁ পোকা
পাতা ঝরে পড়ার শব্দে যেন প্রাচীন
এক অজানা গল্প

আমরা মিথ্যে চিতার আগুন জ্বালিয়ে
পুড়িয়ে দিতে থাকি
রাগ, অভিমান, জমে থাকা আত্মত্যাগ
দহন বেলায় বসন্ত এসে বসে

এইসব অন্ধকার কেটে যাবে
না বলা কথারাও থেমে যাবে
সময়ের ভেতর মিঠে কড়া রোদ্দুর
নেমে আসবে আবার

তার আগে গান হোক
মানুষের…
এমন সোনার মানুষ হবি তবে আয়…

মিশকালো রঙের বাড়ি

আয়নার ভেতর দিয়ে শীত দেখছি যখন,
মিশকালো রঙের বাড়িটা চোখ তুলে তাকালো যেন।
আর শরীরে বয়ে গেল
পাহাড়ি চৌরাস্তার অশ্রু।

ভারী বাতাস আরও ভারী হলো,
শিরশিরে কাঁপন দিয়ে রাত গভীর।

আকাশের তারাগুলো নেমে এলো
মাটি জুড়ে
ছুঁয়ে দিলাম তোমার আঙুল।

আজ পূর্ণিমা নয়, আজ অমাবস্যাও নয়
মিশকালো রঙের বাড়িটা প্রদীপ জ্বালিয়ে দিল।

দুটো ছায়ার আদল
ফিনফিনে পর্দায় মিলে গেল
ঠোঁটে ভর করল বুনো ফুল।

ভালোবাসার সিম্ফনী গেঁথে নেওয়ার
এক যুগ পর- বোবা হাত ধরে নিলে আবার।

প্রবেশ করলাম মিশমিশে কালো বাড়িটায়। মনেস্ট্রির প্রার্থণা
ছড়িয়ে পড়ল পাহাড় জুড়ে…
আসবাবপত্রে, আয়নায়…
আমাদের সময়ে।

বৈশাখী নার্গিস

কবিতা কখনও শখ নয়, এ এক জন্ম। প্রতিটা কবিতায় মুহুর্ত নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই। শব্দের শরীরে হু হু করে হাওয়া বাতাস চলাচল না করলে, এই আমি মৃত আত্মা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top