thaba.in

সৌমিক ভট্টাচার্যর কবিতা

শেয়ার করুন

দ্বিতীয় 

তুমি কলকাতার একটা বারে বসে লিখছো একটা ফিনিশ হয়ে যাওয়া আসলামের কথা,আসলামকে চেনোনা লিখছো কারণ আসলামকে তারা চেনে যাদের সাথে আগামীকাল বসে তুমি নেশা করে স্বীকার করবে তুমি কী কী ঘৃণা করো, নেশা কেটে গেলে জানাবে তোমার প্রেস্কিপসনে না লেখা কিছু মানসিক রোগের কথা, বলবে কারণ বললে তুমি আরো একধাপ ভণিতার দিকে এগিয়ে যাবে, তুমি অজ্ঞাত এই বিষয়, সূর্যাস্ত এখনও সেরকম ভাবে  দেখা হয়নি, তাই হয়ত মনে হয় স্থায়ী সব কিছুকে অস্বীকার না করলে রক্ত পেচ্ছাপ হবে সরকারি হাসপাতালের বেডে শুয়ে, তোমরা নিজের ব্যাপারে লেখোনা, ভয়, কেবল ভয়, লিখলে তোমার বন্ধুরা, তুমি, ফুটপাথের চেয়ারম্যান, বারের সেই লোকটা যে সিগারেট এনে দেয় সবাই জেনে যাবে তুমি আসলে কয়েক বছর যাবৎ কিছু লেখা পড়ে আজকে আরশোলা হতে চাইছো, কাফকা সুস্থতার কথা লিখলে তুমি সুস্থই হতে চাইতে, তোমার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে তোমার বন্ধুরা, জেনে যাবে তোমার লেখায় শব্দ আছে শুধু, যে পড়বে তাকে রক্তবমি করানোর সামান্য ক্ষমতা নেই। আরো কয়েকবার চাঁদের আলোর কম থেকে বেশি হয়ে আসার ভেলকি দেখলে বুঝতে পারবে ফ্যাসিনেটেড শব্দ ব্যবহার করতে না পারলে তোমরা বাক্যরচনাও করতে পারবেনা, এটুকু আজ লেখো তোমাদের সব অক্ষমতা, আমি আজ লেখা ছেড়ে দিয়েছি, লিখিনা, কোনোদিন আবার লিখলে লিখবো কতদিন বারে যায়নি, আজকাল বমি হলে কি আগের মতই কষ্ট হয়, প্রেমিকার জামা ধরে হা করে শুয়ে স্বপ্ন দেখতে চাই বেঁচে থাকার, মৃত্যু আর ভালো লাগেনা, হয়ত লিখবো তোমাদের বয়সটা একটা মিথ, লিখবো যাদের বন্ধু সংখ্যা কমতে কমতে আকাশ শূন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কোনোদিন দুঃখ পাওয়া উচিত না, রাত হলে তাদের বুকে চাঁদ জ্বলজ্বল করে।  

সৌমিক ভট্টাচার্য

আমার নাম সৌমিক ভট্টাচার্য, আমি তপসিয়াতে থাকি, এখানেই আমার জন্ম, এখানেই মৃত্যু হলে ক্ষতি নেই, কলেজে সিনেমা নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ হলে স্কুলে পড়া কিছু কবিতাকে পুরোনো ভাবে ধরতে পারি, গলা টিপে ধরেছিলাম, তারপর একদিন কবিতা আমার গলা টিপে ধরলো, কিছুতেই ছাড়ছেনা,আমি কি ছাড়তে চাইছি?

1 thought on “সৌমিক ভট্টাচার্যর কবিতা”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top