উপত্যকা
মৃত্যু নামবে
কখনো বালিরেখায়
এভাবে ভিড় বাড়ছে,
এভাবে বারান্দা ভরে উঠবে ঢেউ, দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলোনে
দুপুর গড়বে বালিশ আর
চুরি হবে দ্বিতীয় পরিচ্ছদের উত্তাপ
আকাশের রেইনকোট হয়ে বাতাসে উড়বে
না ঘুমোনো মেজেন্টা রেখা
আমার শাল্মলী ছিঁড়ে
যায় শববাহী গাড়ির শব্দ
উঁহু পাখি, উঁহু বাঘরোলের
কিছুটা ধুলোই ক্ষণিক
নীচু বায়ুমণ্ডলে ভাসে কিছুক্ষণ
কখনো বালিরেখায়
এভাবে ভিড় বাড়ছে,
এভাবে বারান্দা ভরে উঠবে ঢেউ, দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলোনে
দুপুর গড়বে বালিশ আর
চুরি হবে দ্বিতীয় পরিচ্ছদের উত্তাপ
আকাশের রেইনকোট হয়ে বাতাসে উড়বে
না ঘুমোনো মেজেন্টা রেখা
আমার শাল্মলী ছিঁড়ে
যায় শববাহী গাড়ির শব্দ
উঁহু পাখি, উঁহু বাঘরোলের
কিছুটা ধুলোই ক্ষণিক
নীচু বায়ুমণ্ডলে ভাসে কিছুক্ষণ
সৈকতাবাস-১
রূপোর জীবন ক্রমে নিভে আসে
রূপো জঙ্গল জল, রূপোশহরের স্বাদ
পান্ডুলিপির পাতা উড়ে পাড়ি দেয়
বাক্তিগত শব্দ কারসাজী
বাইরে বিকেল হলে
বাইরে বাইরে তার ছবি জ্বলে ওঠে
হাটে যারা যায়
রঙিন জামার গড়ন সশব্দে ভেঙ্গে
সন্ধ্যের ফিরে আসে বাড়ি
খোলা তোরঙ্গের চাবি
রূপো জঙ্গল জল, রূপোশহরের স্বাদ
পান্ডুলিপির পাতা উড়ে পাড়ি দেয়
বাক্তিগত শব্দ কারসাজী
বাইরে বিকেল হলে
বাইরে বাইরে তার ছবি জ্বলে ওঠে
হাটে যারা যায়
রঙিন জামার গড়ন সশব্দে ভেঙ্গে
সন্ধ্যের ফিরে আসে বাড়ি
খোলা তোরঙ্গের চাবি
ঝোলে তাদের দরজায়
নিভে আসে রাগ, নেকড়ে জিভের মত রাত হাঁটে
শেষ খাঁচাটির কাছে তখনও কাঁদছে
রেলের শব্দ, রাস্তার পীচ,
নিভে আসে রাগ, নেকড়ে জিভের মত রাত হাঁটে
শেষ খাঁচাটির কাছে তখনও কাঁদছে
রেলের শব্দ, রাস্তার পীচ,
আর বাড়িফেরা টিভির মন্তাজ
অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়
গল্প হলেও সত্যি
শুকনো ডাঙার কবি। নেশা ছাড়া জলে খুব একটা নামেন না। জিরাফ খুব পছন্দের animal। ধর্মে ও জিরাফে দু’জায়গায়তেই থাকার লোভ প্রচন্ড, কিন্তু খুব একটা তাল রাখতে পারেন না। মাসাইমারায় বসে ভুট্টা খাওয়াই শ্রেষ্ঠ রোমান্টিসিজম মনে করেন কবি। কবিতা কী ও কেন এই প্রশ্নে সজাগ, কিন্তু নিরুত্তর। তবে একমাত্র কবিতা লেখার উদগ্র লোভই তাঁকে দিয়ে গত দু’দশকে অনেক কবিতা লিখিয়ে নিয়েছে। রোববারে খাসির ‘বোন ম্যারো’ খাওয়ার মতো করেই জীবনের নানা রূপ- রস-গন্ধ চুষে কবিতা বার করেন। কিন্তু খাসির এত দাম বেড়ে গিয়েছে যে শেষ কোন রোববার খাসি খেয়েছেন ভুলে গিয়েছেন। ফলে সেই প্র্যাকটিসে ভাটা পড়েছে। এমনিতে কবিতা লেখেন নাকি কবিতা করেন এই দ্বিধায় দীর্ঘদিন ভুগেছেন। কারন ওঁর নাকি কবিতা ‘পায়’। তো সেই সমস্যা সদ্য সমাধান হয়েছে। এখন উনি কবিতা খুব একটা না লিখলেও, পুরোনো একটা কবিতা খুলে এডিট করে চার পাঁচটা কবিতা বানিয়ে ফেলতে খুব পছন্দ করেন। কবিতা নিয়ে উনি ‘ইগোবায়ুগ্রস্থ’ নন। অর্থাৎ কবিতা নিয়ে ওঁর কোনও ‘ওসিডি’ নেই। তাই নিজেই অবাক হয়ে নিজেকে বাঙালি কবি নয় বলে সন্দেহ করেন এবং ‘সাউথ ইন্ডিয়ান বাংলা কবি’ বলে বিশ্বাস করেন। সেইমতো একটা কড়া গোঁফও নাকের ডগায় ঝুলিয়ে রাখেন।
শুকনো ডাঙার কবি। নেশা ছাড়া জলে খুব একটা নামেন না। জিরাফ খুব পছন্দের animal। ধর্মে ও জিরাফে দু’জায়গায়তেই থাকার লোভ প্রচন্ড, কিন্তু খুব একটা তাল রাখতে পারেন না। মাসাইমারায় বসে ভুট্টা খাওয়াই শ্রেষ্ঠ রোমান্টিসিজম মনে করেন কবি। কবিতা কী ও কেন এই প্রশ্নে সজাগ, কিন্তু নিরুত্তর। তবে একমাত্র কবিতা লেখার উদগ্র লোভই তাঁকে দিয়ে গত দু’দশকে অনেক কবিতা লিখিয়ে নিয়েছে। রোববারে খাসির ‘বোন ম্যারো’ খাওয়ার মতো করেই জীবনের নানা রূপ- রস-গন্ধ চুষে কবিতা বার করেন। কিন্তু খাসির এত দাম বেড়ে গিয়েছে যে শেষ কোন রোববার খাসি খেয়েছেন ভুলে গিয়েছেন। ফলে সেই প্র্যাকটিসে ভাটা পড়েছে। এমনিতে কবিতা লেখেন নাকি কবিতা করেন এই দ্বিধায় দীর্ঘদিন ভুগেছেন। কারন ওঁর নাকি কবিতা ‘পায়’। তো সেই সমস্যা সদ্য সমাধান হয়েছে। এখন উনি কবিতা খুব একটা না লিখলেও, পুরোনো একটা কবিতা খুলে এডিট করে চার পাঁচটা কবিতা বানিয়ে ফেলতে খুব পছন্দ করেন। কবিতা নিয়ে উনি ‘ইগোবায়ুগ্রস্থ’ নন। অর্থাৎ কবিতা নিয়ে ওঁর কোনও ‘ওসিডি’ নেই। তাই নিজেই অবাক হয়ে নিজেকে বাঙালি কবি নয় বলে সন্দেহ করেন এবং ‘সাউথ ইন্ডিয়ান বাংলা কবি’ বলে বিশ্বাস করেন। সেইমতো একটা কড়া গোঁফও নাকের ডগায় ঝুলিয়ে রাখেন।